শিরোনাম দেখে চমকে উঠেছেন নিশ্চয়ই? হয়তো ভাবছেন যে এখানে আর্নিং এর বিষয়ে ধারণা দিবো তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ আর্নিং এর কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। হ্যা আমি আপনাকে আর্নিং এর শর্টকাট রাস্তা দেখাবো না তবে যেটা দেখাবো সেটা হচ্ছে এই রাইটিং থেকে আর্নিংয়ে কিভাবে নেয়া যায় সেটার টিপস। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আমি একটা জিনিস পর্যবেক্ষণ করে যা দেখলাম নতুন অনেকেই যারা আসেন তাদের মধ্যে একটা কথা প্রায় শুনি তা হচ্ছে ভাই এই লাইনে কত টাকা ইনকাম করা যাবে। এখন যদি বলি আপনি এই লাইনে কাজ করলে মাসে ১ হাজার ডলার থেকে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত কামাতে পারবেন। বিশ্বাস করবেন? কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
ভাবছেন এই তো বললেন আর্নিং দেখাতে আসি নাই তবে এই লোভ দেখাচ্ছি কেন? না আমি কোনো লোভ দেখাচ্ছি না। তবে এটা মিথ্যা নয় অনেক কন্টেন্ট রাইটার মাসে ১ হাজার ডলার কামাচ্ছেন। কিন্তু যদি ভাবেন সে রাতারাতি করেছে তাহলে বস কন্টেন্ট রাইটিং আপনার জন্য না। আজকের দিনে একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার যে কিনা লাখ টাকা কামাচ্ছেন তার বিপরীতে রয়েছে তার শত রাত জাগার গল্প, রয়েছে শত ব্যর্থতার গল্প, রয়েছে অনেক না বলা কথা। কিন্তু আজ এই সফলতার মধ্যে হয়তো তা ঢাকা পড়ে গিয়েছে।
যাইহোক এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন এখানে টাকা কামানোর আগে আপনাকে স্কিলড হতে হবে। কিন্তু স্কিলড হয়ে অনেকেই বলেন কাজ পান না। ইনফেক্ট আমি নিজেও দেখেছি আমার সাথে কাজ করতে চায় যখন বলি একটু স্যাম্পল দেখান তখন অনেকেই দেখাতে পারে না এমনকি অনেকে কপি করে দেখান। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনি একজন কন্টেন্ট রাইটার। অথচ আপনার পোর্টফোলিও নেই। এটা হতে পারে না।
আপনি আর দেরি না করে একটা পোর্টফোলিও সাইট তৈরি করুন। নাম বলবো না স্প্যামিং হতে পারে তাই। একটা পোর্টফোলিও সাইট রয়েছে যা গতবছর কোনো এক মাসে সেই সাইটটি কয়েক হাজার ডলার ইনকাম করেছিলো। আই এম নট জোকিং। তবে স্পেসিফিক বললাম না। তবে কিভাবে কামিয়েছিলো সেটার উৎস অনেক।
কিন্তু একটা পোর্টফোলিও সাইট থাকলে আপনি সহজেই আপনার ক্লায়েন্টকে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারবেন আর তার সাথে আপনি যদি এড রান করেন তবে সেখান থেকেও ক্লায়েন্ট পাবেন। বিলিভ মি আপনাকে ক্লায়েন্ট হারানোর হতাশা নিয়ে থাকতে হবে না।
রাইটিং টু আর্নিং নিয়ে এই তো শুরু। যদি আপনাদের রেসপন্স পাই তবে এটা নিয়ে সামনে আরো লিখবো ইনশাআল্লাহ। আজ এ পর্যন্তই কমেন্টে কে কি জানতে চান তা জানান।